গাজার উপত্যকা এবং গাজা শহরে ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) জানিয়েছে, সেখানে ৮০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দেশটির পুনর্গঠনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। গাজা শহরে এই সংখ্যাটা আরও বেশি, যেখানে ৯২ শতাংশ ভবনই ধ্বংস বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএনডিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গাজার অবস্থা মূল্যায়ন করছে এবং পুনর্গঠনের জন্য কি কি দরকার তা নির্ণয় করছে। এক মুখপাত্র জেনেভায় বলেছেন, গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা যেন এক বিবর্ণ বিধ্বস্ত দৃশ্য, যেখানে ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ কমপক্ষে ৫৫ মিলিয়ন বা সাড়ে পাঁচ কোটি টন। এই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে তারা কিছু কার্যক্রম শুরু করেছে, কিন্তু অবিস্ফোরিত বিস্ফোরকের কারণে কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উদ্ধার কাজের সময় অনেক মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো শনাক্ত এবং সমাহিত করার প্রয়োজন রয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বব্যাংকের অনুমান, গাজা পুনঃনির্মাণে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড) অর্থ ব্যয় হবে, যা এই সংঘর্ষের পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতি সামাল দিতে不可িহ ন্য। অন্যদিকে, গাজায় চলমান সংকটের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর সুসংবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ কেউ ভাবেননি যে এই পরিস্থিতি এত দ্রুত সমাধান হবে। তিনি ইসরায়েল ও মিশরে প্রেসিডেন্টের সফর শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথাগুলো বলেন। ট্রাম্পের মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে, তবে তিনি এ ব্যাপারে আশান্বিত নন। তিনি বলেন, কিছু মানুষ এক-রাষ্ট্রের সমাধান পছন্দ করে, আবার কেউ দ্বি-রাষ্ট্রের। আমাদের দেখতে হবে কী উপায়ে এই সংকট সমাধান সম্ভব, তবে তিনি নিজে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলছেন না। মার্কিন ট্রাম্প মিশরে ২০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে গাজা নিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। যখন জানতে চান, প্রেসিডেন্ট না থাকলে শান্তি সম্ভব কি না, তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত না, তবে আমি চেষ্টা করব সবরকমভাবে সমাধান করার জন্য। ট্রাম্প আরো বলেন, আমি যেহেতু বর্তমান প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট নই, সেহেতু ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন, তবে যেহেতু আমি থাকি, আমি শান্তি প্রতিষ্ঠায় লড়াই চালিয়ে যাব।