এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে আরও বৃদ্ধি এসেছে। ভরিতে প্রায় ২ হাজার ৬১৩ টাকা যোগ করে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এখন দেশের বাজারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নতুন এই দাম বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে, যা বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভরিতে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা, যা আগের তুলনায় এক লাখ ৩২৭ টাকা বেশি। পাশাপাশি, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই দাম নির্ধারনের সময় স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যুক্ত থাকতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরির তারতম্য হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর বাজুস স্বর্ণের দাম আবার সমন্বয় করেছিল। তখন ভরিতে ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বৃদ্ধি করে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, যা দেশের সর্বোচ্চ। এই দামের কার্যকারিতা ডিসেম্বরের শুরু থেকে শুরু হয়েছিল।
বিগত এক বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম মোট ৬৫ বার সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৭ বার, আর কমানো হয়েছে ১৮ বার। অন্যদিকে, ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার দাম পরিবর্তন হয়েছে, যেখানে ৩৫ বার বৃদ্ধি আর ২৭ বার দাম কমানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লেও, দেশের রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২০৫ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অন্যান্য মানে, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫ হাজার ৭৪ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার মূল্য ৩ হাজার ৮০২ টাকা।
এভাবেই স্বর্ণের বাজারে দাম নিয়মিত পরিবর্তন হলেও, রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারের এই পরিস্থিতি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক আপডেট।