বয়স ৪০ বছর হলেও এখনো ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি এখন এক হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁই ছুঁই করছেন। এর পাশাপাশি আয়ের দিকেও তিনি সবার উপরে থাকছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারদের তালিকায় Forbes সাময়িকী রোনালদোকে প্রথম স্থানে অবস্থান দিয়েছে, যেখানে তিনি এই বছরে প্রায় ২৮ কোটি ইউরো উপার্জন করেছেন। অন্যদিকে, আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাঁর আয়ের পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি। প্রথমবারের মতো সেরা দশে ঢুকেছেন স্পেনের তরুণ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল।
গত মে মাসে প্রকাশিত অ্যাথলেটদের আয়ের তালিকায়ও তৃতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছেন রোনালদো। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেসির আয় বছরে ১৩ কোটি ইউরো। মেসির আয় মূলত মাঠের বাইরেও বিভিন্ন চুক্তি ও প্র Sponsorship এর মাধ্যমে আসে, যেমন অ্যাডিডাস, লেইস, মাস্টারকার্ডের সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে। গত বছরই তিনি একটি স্পোর্টস ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন।
সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগ দেওয়ার পর থেকে ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা আকারে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তিনি বছরে প্রায় ১০.৪ কোটি ইউরো আয় করেন। শীর্ষ পাঁচে আরও রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে (৯.৫ কোটি ইউরো), এবং ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড (৮ কোটি ইউরো)।
চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকছেন যথাক্রমে রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (৬ কোটি ইউরো) এবং লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ (৫.৫ কোটি ইউরো)। আট নম্বরে জায়গা পেয়েছেন আল-নাসরের সেনেগালিজ তারকা সাদিও মানে (৫.৪ কোটি ইউরো), এবং নবম স্থানে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম (৪.৪ কোটি ইউরো)।
বিশেষ করে দশম স্থানে আছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইয়ামাল, যার আয়ে রয়েছে ৪.৩ কোটি ইউরো। এই তালিকায় ইয়ামালের উপস্থিতি সত্যি এক চমক। তার ম্যাচুরিটি, ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি যেমন, বিস্ট বাই ড্রে, অ্যাডিডাস, ক্যানামি এবং পাওয়ারঅ্যাডের সঙ্গে তাঁর চুক্তিগুলো তাকে আরও আয়ের উৎসে পরিণত করেছে। পেশাদার ফুটবল তারকার এই উত্থানকেই অনেক পর্যবেক্ষক ভবিষ্যতের জন্য খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।