আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি আবারো ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখলেন। আজ পুয়ের্তো রিকো বিরুদ্ধে ৬-০ গোলের বড় জয় হয় যেখানে তিনি দুটি অসাধারণ অ্যাসিস্ট করেছেন। এভাবে তিনি নিজেকে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট দেওয়ার রেকর্ডধারী খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন।
এই ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্টের মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক অ্যাসিস্টের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০-এ, যা পূর্বে রেকর্ডধারী নেইমার ও ল্যান্ডন ডোনাভানকে ছাড়িয়ে গেছে। এই অসাধারণ অর্জনের পাশাপাশি, মেসির ক্যারিয়ারে এখন মাত্র তিনটি অ্যাসিস্টের দূরত্বে রয়েছে ৪০০ অ্যাসিস্টের মাইলফলক।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে (এটি মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির ঘরোয়া মাঠ) খেলাটি হয়েছে দারুণ আগ্রহের। যদিও নিজে গোল করেননি, তবুও অধিনায়ক হিসেবে তিনি দুটি গোল করিয়ে দেন আলেক্সিস মাক আলিস্তা ও লাউতারো মার্তিনেসকে। আর এই গোল দুটির পাশাপাশি গনসালো মন্তিয়েল ও এক আত্মঘাতী গোল মিলিয়ে ম্যাচের ফল ৬-০।
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা গোলদাতা হিসেবে পরিচিত হলেও, মেসি একজন প্লে-মেকার হিসেবেও সমানভাবে দারুণ। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোর বিপক্ষে তার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসিস্ট করেছিলেন। প্রথমার্ধে পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে খেলার সময়, বক্সের ভেতরে গনসালো মন্তিয়েলকে এক নিখুঁত পাস দিয়েছিলেন, যার মাধ্যমে দলকে গোলের খাতা খোলার সুযোগ করেন। পরে, তার এক চতুর ব্যাক পাসে লাউতারো মার্তিনেস দ্বিতীয় গোলটি করেন।
আর্জেন্টিনা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় এবং তাদের প্রতিপক্ষ পুয়ের্তো রিকো ১৫৫তম স্থানে আছে। ম্যাচে দেখা যায়, যদিও পুয়ের্তো রিকোর খেলোয়াড়রা সুযোগ নষ্ট করে, তবে আর্জেন্টিনার দাপট অবশ্যই স্পষ্ট ছিল। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ একটি দূরপাল্লার শট রুখে দেন, যা দলের জন্য বড় নিরাপত্তা।
২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে, মেসির সামনে এখনও স্বপ্নের পথে রয়েছে বড় সাফল্য। ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জেতার পর, তার আরও একটা বড় অর্জনের সাহস দেখিয়ে চলেছেন।
বর্তমানে, মেসি মোট ১,১২৯ ম্যাচে ৩৯৭ অ্যাসিস্ট করেছেন। তিনি রোববার ন্যাশভিল এসসি-র বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আবার ক্লাবে ফিরবেন।
আজকের খবর/বিএস