বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের মাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে একটি সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তারা তার একটি বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তিনি এই প্রত্যাশাকে স্বাগত জানান এবং বলেন, এভাবেই রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংলাপ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, তারা যথাযথ সম্মানের সঙ্গে তার বক্তব্যটি প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বিস্তারিত বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, জুলাই যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন আমাদের সঙ্গে সংলাপে আলোচনা করেছে, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তারা কথা বলেছে। তাদের একটি যৌক্তিক দাবি ছিল, যেটা পূরণের জন্য তিনি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজের বক্তব্য উল্লেখ করেন, যিনি এ বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধান করেছেন। এর পরই তাদের অভিযোগের অবকাশ কমে যায়।
তিনি মনে করেন, বিশৃঙ্খলার জন্য জড়িত লোকজন এমনকি কিছু ছাত্র বলে পরিচিত হলেও, তারা মূলত অশৃঙ্খল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে দুষ করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিগত কিংবা সংগঠনমূলক কোনই জড়িত নয়। তিনি একে প্রকৃতপক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের, যাতে কেউ ভুল ধারণা না করে তারা অশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে মনে না করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন বা বিকৃতি হয়েছে বলে মনে হয়নি, তবে সংক্ষিপ্ত অংশগুলো অর্থহীনভাবে কাটছাঁট করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার বক্তব্যের শেষের দিকে বলেছিলাম, ওই বিশৃঙ্খল ঘটনায় কোনো জুলাই জোড়া বা সংগঠনের লোকজন জড়িত থাকতে পারে না, আমি তা বিশ্বাস করি।
অগ্নিদগ্ধের ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের অপেক্ষায় থাকাই শ্রেয়, কারণ এই ঘটনার সূক্ষ্ম দিকগুলো এখনও তদন্তাধীন। তিনি মনে করেন, কিছু ঘটনা দেশের অস্থিতিশীলতা হঠাতে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হতে পারে। তবে তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।
নির্বাচনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করেনি। সবাই একযোগে বলছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু দল পিআর দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে, যা একটি গণতান্ত্রিক চর্চা। এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যই তারা সংগ্রাম করছে, বলে উল্লেখ করেন তিনি।