মিরপুর শের বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে ২০৭ রানে অলআউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই স্মরণীয় ও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ছিল বেশ নাটকীয়, যেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অন্যরকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন অভিষেকেই ফিফটির আশেপাশে ছিলেন। প্রথম ম্যাচে তার অমোঘ চেষ্টা ছিল দারুণ। তিনি বেশ কিছু বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু ৪৬তম ওভারে ত্রুটি ঘটে—অঙ্কন রোস্টন চেসের বল বাউন্ডারির দিকে হাঁকানোর জন্য যান, কিন্তু ব্যাট মিস করে বল অফস্টাম্পের টা স্পর্শ করে উইকেট খুঁড়ে দিয়ে যায়। এরপর তিনি কিছুটা হতাশ হয়ে পিচে থাকেন না, এবং তার ৪৬ রানের ইনিংস আর ধীর গতির হয়ে যায়। এ ইনিংসটি ৭৬ বলে ৩ চারসহ খেলে যান তিনি।
অঙ্কনের মতো ধীর গতির ব্যাটিং বাংলাদেশের জন্য হতাশার কারণ ছিল। এই ধীরগতি মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়, কারণ প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ মাত্র ২০৭ রান করে সমাপ্তি টানতে সক্ষম হয়। বড় সংগ্রহ তৈরি করতে হলে শুরুটি দারুণ করতে হয়, যা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার প্রথম ৮ রানের মধ্যে ফিরে যান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য হৃদয় ৭১ রানের জুটিতে একটা সামান্য চাপে থাকলেও, রান সংগ্রহের গতি কম ছিল। ব্যক্তিগত ৩২ রানে শান্ত বিদায় নিলে, তখন দলের স্কোর ১০০ হলেও ওভার পার হতে থাকে।
মোট ৩টি উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র ফিফটি ছিল ধীর গতির। হৃদয় ৫১ রানে (৩ চার, ১ ছক্কা) ৯০ বল খেলে বিজয়ীভাবে ফিরেছেন। অন্যদের মধ্যে রিশাদ হোসেন শেষ দিকে কিছুটা ঝকঝকে খেলেছেন, ২৬ রান করে। তার ২৬ রানের জন্য বাংলাদেশটি ২০০ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। পুরো ইনিংস সাজানো ছিল ধীর গতির, তবে শক্তভাবে শেষ করে দারুণ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলেছেন। জেইডন সিলস সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন ক্যাপটেন মাইকেল হোল্ডিং।
শেষ পর্যন্ত উইন্ডিজরা এই ম্যাচে বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে, যেখানে তারা ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই ফলাফল বাংলাদেশের জন্য মনে রাখার মতো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।