জুলাই মাসে মহান গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, পটুয়াখালীর বোতামপুরে শহীদ মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৮) দীর্ঘদিন ধরে চলমান ধর্ষণের মামলার রায় আজ (২২ অক্টোবর) ঘোষণা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করবেন।
মামলার মূল ঘটনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দমকির পাংগাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি গ্রামে লামিয়া, যিনি ওই সময় দুমকি সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রেন, তার আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তের দল তার ওপর ন্যাড়া জোড়ভাবে হামলা চালায়। তারা তার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভয়ঙ্করভাবে ধর্ষণ করে। পরে, পরের দিন, সাহস করে লামিয়া নিজে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব মুন্সীকে immediate আটক করে, এরপর আরও দুইজন—সিফাত মুন্সী ও ইমরান মুন্সী—কে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটির সত্যতা নির্ধারণে ডিএনএ পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়।
অসুবিধাজনকভাবে, ধর্ষণের মানসিক যন্ত্রণা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠায়, ২৬ এপ্রিল লামিয়া তার জীবন শেষ করার জন্য ঢাকার শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন। এরপর তার মরদেহ তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়, যেখানে তিনি তার পিতার কবরের পাশে শায়িত হন।
ভুক্তভোগীর মা রুমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল— এ কারণেই তাকে হারালাম। আমি চাই, দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়, যাতে অন্যরা শিক্ষানবিশ করে।’ মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমরা আদালতে স্পষ্ট প্রমাণPresent করেছি যে লামিয়ার উপর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং অভিযুক্তরা সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’