দেশের শেয়ার বাজারে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ আবার কমে এসে ৩০০ কোটি টাকার আশেপাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) মিলিয়ে মোট লেনদেন হয় ৩৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকার মতো, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে অনেক কম। গতকালের লেনদেনের আগে অর্থাৎ গত ২৩ জুন, ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭৮ কোটি ১ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক দিনে লেনদেনের পরিমাণে প্রায় ১২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার মতো পতন ঘটেছে। এটি ডিএসইতে এই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই কমতির কারণে বাজার সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, কারণ সাধারণত এই ধরনের পতন অর্থনীতির জন্য সতর্ক বার্তা দেয়। নব্বই শতাংশ শেয়ারদর এখনও কমার প্রবণতায় থাকলেও কিছু কোম্পানি কিছুটা বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সার্বিকভাবে বাজারের এই পরিস্থিতি অস্থিরতা বা অনিশ্চয়তার চিহ্ন। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকগুলি— ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ—ও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ অনেকটা কমে আসায় বাজারে একটা সতর্ক সময় চলছে। শীর্ষ মূল্যের লেনদেনের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার, যার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১১ লাখ টাকার। এরপর রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার, যার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ, এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার, যার লেনদেনের পরিমাণ ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অন্যদিকে, দেশের অপর বাজার সিএসইর পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হলেও শেয়ারের দর কমে গেছে। সিএসইতে মোট ১৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, দর কমেছে ৯৩টির এবং ১৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএএসপিআই সূচক কমে গেছে ১৩ পয়েন্ট। গতকাল এই বাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেশি। সাধারণভাবে বলা যায়, বাজারে এই কমতি বেশ কিছু উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ লেনদেনের এই হ্রাসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে।


















