আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর সাথে সাথে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্তকরণের দিকে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কারো “গ্রীন সিগন্যাল” পেয়ে নির্বাচন মঞ্চে নাম লেখাতে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বগুড়ার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দির মতো আসনে পরিস্থিতি বেশ আলাদা নয়। এই এলাকায় অন্তত দেড় ডজনের বেশি সম্ভাব্য প্রার্থী সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন। তারা নিজেদের মনোনয়ন লাভের জন্য দিনরাত চেষ্টায় ব্যস্ত। ভোটার, নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মনে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, কেউ কি শেষমেষ দলের মূল “গ্রীন সিগন্যাল” পাবে।
বিএনপির এই দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়া জেলা। এখানে বগুড়া-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৫ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪২ জন। এই আসনে সাধারণ ভোটাররা প্রার্থী ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি দলের আদর্শকেও খুব গুরুত্ব দেন। ফলে, এখন রাজনৈতিক মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জল্পনা কল্পনার বিষয়, কে পাবেন বিএনপির প্রকৃত গ্রীন সিগন্যাল।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, সময়ের কঠিন পরীক্ষায় যখন অনেকেই পিছু হটেছিলেন, তখন এই আসনের প্রার্থী এ. কে. এম আহসানুল তৈয়ব জাকির মাঠে ছিলেন। তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুমের শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। শত টাকা মামলা, অত্যাচার-অভিযানের মুখের ওপর দিয়ে তিনি পার হয়েছেন। তার মানবিকতা, ত্যাগ এবং রাজনৈতিক সততার কারণে বর্তমান সময়ে তিনি দলের মধ্যে সবচেয়ে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য নাম।
সোনাতলা পৌরসভার বিএনপি’র ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফজলুল করিম লাজু বলেন, ‘আজকের দিনে আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলতে পারিনি। আমাদের বিরুদ্ধে নানা মামলা দিয়ে পুলিশ হয়রানি চালিয়েছে। আমার পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর হয়েছে। এমন সময়ে নেতাকর্মীরা জাকির সাহেবের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে চলেছি। বিগত সময়ে জাকির ভাই ছাড়া আমরা অন্য কাউকেই দেখতে পাইনি, এই জন্যই আমাদের আশা যে এবার সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনীত হয়ে জনগণের ভোট পাবেন।’
প্রার্থী ও সমর্থকদের পূর্বগামী দলীয় কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তারা বলছেন, জাকির সাহেবের ত্যাগ, মানবতা ও জনদরদী মনোভাব উল্লেখযোগ্য। কিছুজন ইতিহাসে আক্ষেপ করে বলেন, ‘তাঁর মতো আদর্শবান নেতা দলের বাইরে থাকলে অনেক ক্ষেত্রে দলের কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হতো।’
এদিকে, বাড়ির প্রবাসী, গ্রাম্য ও স্থানীয় নেতারা বলছেন, এরুপ লড়াইয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত শেষ সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রার্থী চূড়ান্ত হলে, সক্রিয় কর্মীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাজার, রেলস্টেশন, চায়ের দোকানে এখন নির্বাচনী আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছে। সবাই আশা করছেন, যোগ্য ও মানবিক নেতা হিসেবে এ. কে. এম আহসানুল তৈয়ব জাকিরের মনোনয়ন আসন্ন নির্বাচনে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করবে।


















