প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচনে কোনও শক্তি যাতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এ ধরনের পরিস্থিতি এখনও তার কাছে দেখা যায় না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যা হয়তো সম্ভবত বর্তমানে পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ও স্বাভাবিক নির্বাচন হতে পারে। এর পেছনে তিনটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শফিকুল আলম সৃজনশীল এক স্ট্যাটাসে শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসব কথা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এই বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে।
প্রথমত, বিএনপির মনোনয়নপ্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়া। সাধারণত ধারণা করা হতো, শর্তের মতো সংঘর্ষ, বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতিবাদ, কিংবা দলের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তবে বিস্ময়করভাবে, এই প্রক্রিয়াটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা স্পষ্ট করেছে বিএনপি নেতৃত্ব তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এই অবস্থায় বোঝা যায়, নির্বাচনের সময় দলীয় অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের আশঙ্কা খুবই কম।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের শক্তি এখন খুবই সীমিত। দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল যে, তাদের বিশাল তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে যা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সক্ষম। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখাচ্ছে, তাদের বাস্তব মাঠ-সংগঠনের ক্ষমতা অনেক সীমিত। মূলত দলটি এখন ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের ওপর নির্ভরশীল, যারা বাসে অগ্নিসংযোগ, অল্প সময়ের মিছিল, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো কাজ করে। ফলে, দলটি মূলত ফেসবুক ভিত্তিক প্রতিবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে, যার মাঠে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনিক শক্তি নেই। এই পরিস্থিতিতে, বোঝা যায় যে, দলটির তৃণমূল ভেঙে গেছে বা অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে গেছে। এজন্য নির্বাচনে কোনও সুসংগঠিত শক্তি নেই।
তৃতীয়ত, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এখন আরও বেশি সংগঠিত। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দৃশ্যমানভাবে স্থিতিশীল হয়েছে, যা পুলিশ, ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন আস্থা সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন তদারকির জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, তারা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।


















