অमेरিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চীনের ওপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক হামলার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলছেন, চীন যদি নিজেদের পণ্য ও খনিজ সম্পদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ না করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২০০ শতাংশ বা তারও বেশি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য এসেছে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা প্রকাশ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষ্য, চীনের এ ধরনের অযোগ্যতা বা অন্যায্য চর্চা বিশ্বের বাজারে তার দেশের স্বার্থের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেট এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি সুযোগ দিতে হবে, নতুবা তারা তাদের পণ্যে বিপুল পরিমাণ শুল্কের মুখোমুখি হবে। মূলত, চীন এখন বিশ্ব বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ম্যাগনেট এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ খনিজ সম্পদ রপ্তানি করে, যা সেমিকন্ডাক্টর, স্মার্টফোন ও অন্যান্য ক্ষুদ্রাঙ্গ পণ্যে অপরিহার্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের শুল্ক হুমকি মূলত বোঝানো হচ্ছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি যেমন ইন্টেল এখনও এই দুর্লভ খনিজের ওপর ব্যাপক নির্ভরশীল। অন্যদিকে, চীন গত জুলাই মাসে বিরল খনিজের রপ্তানি বাড়িয়েছে, যা দেখা গেছে তাদের কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী। বিশেষ করে, জুনের তুলনায় জুলাইয়ে এই খনিজের আমদানি ৪ হাজার ৭০০ টনের বেশি বেড়েছে।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ট্রাম্পের নতুন হুঁশিয়ারির ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ছে। এর আগে, তিনি এক নির্বাহী আদেশে চীনা পণ্যের উপর শুল্ক কার্যকরির সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়েছিলেন, যাতে দুই পক্ষ আরও আলোচনা করতে পারে। যদি এই ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তবে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারত।
পূর্বে, মে মাসে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল যে, শুল্ক হার ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামানো হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হচ্ছিল।