দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন সাংবাদিক বাদল আহমেদ এনাদের আর নেই। সোমবার সকাল ৭টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় তিনি ইন্তেকাল করেন, তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এই পরিচিত সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাদল আহমেদ ছিলেন সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং ভীষণ বিনয়ী। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন, বিশেষ করে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একজন প্রিয় ও সম্মানিত মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে বিনোদন জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। সংগঠনের ক্ষেত্রেও ছিলেন সক্রিয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর সিনিয়র সদস্য হিসেবে কাজ করে গেছেন তিনি। বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে শেষটায় ছিলেন সহসভাপতি। এ ছাড়া সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মজীবনের বড় অংশ ছিল সাপ্তাহিক প্রতিচিত্র পত্রিকায়, পাশাপাশি বিজয় টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও দ্য আমার বার্তা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
বাদল আহমেদ মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। নিজের সামাজিক মাধ্যমের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তিনি শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘বাদল ভাই, এক জন পথপ্রদর্শক ও উৎসাহের প্রতীক। আমার ছোট কেরিয়ারে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রিয় মানুষ ছিলেন। এই ক্ষতি কখনো ভোলা যাবে না। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি, মহান আল্লাহ যেন আপনার পরিবারকে এই শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দেন। আমিন।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস কোর্টে বাদল আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সংগঠনের বিভিন্ন সদস্য ও সহকর্মীরা একসঙ্গে তার স্মৃতির ওপর ভর করে সান্ত্বনা খুঁজেছেন। অনেককেই কান্না আটকানো যায়নি। শেষবারের মতো তাকে বিদায় জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা মতিহারসহ বেশ কয়েকজন। সেখানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আইয়ুব ভূইয়া, বাচসাসের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান, সাবেক সভাপতি রিমন মাহফুজ, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক আরফানুল নাহিদ, বর্তমান সভাপতি কামরুল হাসান দর্পন ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে গাজী মাহবুব উপস্থিত ছিলেন। পরে শোক দিবসের অংশ হিসেবে বাদল আহমেদের মরদেহে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তার মৃত্যুতে সংগীত ও সাংবাদিকতায় তার বিশেষ স্থান আরও চির অম্লান হয়ে থাকবে।