মার্কিন অভিবাসী ভিসা প্রকল্প, বিশেষ করে এইচ-ওয়ান বি ভিসা এবং গ্রিনকার্ড নীতিতে এরই মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা। এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে চালু এইচ-ওয়ান বি ভিসা ব্যবস্থা বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে, এই ভিসার মাধ্যমে আসা বিদেশি কর্মীরা মার্কিন কর্মীদের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন, যা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে সরকার। দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ওপর বেশি নির্ভরশীল, কিন্তু এখন থেকে মার্কিন নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে চায় প্রশাসন।
বিএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুটনিক আরও জানান, এইচ-ওয়ান বি ভিসা ও গ্রিনকার্ডের নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। তিনি বলেছেন, এই ভিসাগুলোর বর্তমান ব্যবস্থায় নানা জটিলতা রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য বাধা সৃষ্টি করছে। তার মতে, বর্তমানে একজন মার্কিন নাগরিকের গড় বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার ডলার, যেখানে একজন গ্রিনকার্ডধারী বিদেশি কর্মীর গড় আয় ৬৬ হাজার ডলার, যা পরিবর্তন দরকার।
লুটনিক আরও জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে বলে আশা করেছে সরকার। তার কথায়, এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে একান্ত প্রস্তুত ও প্রতিযোগিতামূলক দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
এক প্রশ্নের উত্তরে লুটনিক বলেন, এইচ-ওয়ান বি ভিসার জন্য বর্তমানে যে লটারির ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি বাতিল করে উচ্চ আয়ের আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই ভিসাকে মজুরিভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।
উল্লেখ্য, মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো অভিবাসী যদি গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই এইচ-ওয়ান বি ভিসাধারী হতে হবে। এই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসীদের জীবনে বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এটি একদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিক নির্দেশনা দিতে সক্ষম হবে, অন্যদিকে বাইরের মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য দেশের দরজা আরও প্রশস্ত করে তুলবে।
আজকের খবর/বিএস