এখন থেকে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ২৮ আগস্ট দুপুরে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ এই কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই পরিকল্পনায় মোট ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ও সমন্বিতভাবে বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অংশীজনদের সাথে আলোচনা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, বিচার ও আইন সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন ও প্রচার কার্যক্রম। এই কর্মপরিকল্পনার আওতায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটের জন্য সংলাপ ও আইনি সংশোধন, ভোটার তালিকার চূড়ান্ত*, এবং সেপ্টেম্বরের শেষে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সীমানার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও গেজেট প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রস্তুতিতে রয়েছে নির্ধারিত সময়সূচির ভূমিকা, যেমন ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপের প্রস্তুত ও প্রকাশ, ২২ অক্টোবরের মধ্যে পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন ও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনুমতি, আর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী তথ্য প্রচার ও প্রচারনামূলক কাজ। পৃথক ভাবে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ ও বিতরণ, স্বচ্ছ ব্যালটের চূড়ান্তরণ ও প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া ও সম্পন্ন করা হবে।
অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রস্তুতিতে বাজেট অনুমোদন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ সম্পন্নের জন্য নির্ধারিত সময়সূচির মাধ্যমে এগোতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, নির্বাচনের ফলাফলের সঠিক ও স্বচ্ছ প্রচার ও প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের কার্যক্রমও ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা সংকেত দিয়ে জানিয়েছেন, সাধারণত ভোটের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে এই তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। সব মিলিয়ে, এই পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন উৎসবমুখর ও নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।