বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এখন গণতান্ত্রিক উত্তরণের রোডম্যাপের জন্য অপেক্ষা করছি। রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে এগিয়ে আসলে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, আমি যখন হতাশার কথা বলেছিলাম, তখন কিছু কাছের লোকজন ভর্ৎসনা করেছিলেন। ফলে, আমাদের চলমান লড়াই খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে পড়েছে, যা মাঝে মাঝে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে অনুভব করি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শীর্ষক এক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এতদিন ধরে ক্ষমতার খুব কাছাকাছি পৌঁছানোর ভাবনা ভুল, কারণ আসলে আমরা ক্ষমতার পরিধিতে পৌঁছাইনি। অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে, তাই জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য ভালো কাজ ও সত্যিকার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি স্বাভাবিক রাজনীতিতে মতভেদের স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, তবে এক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ছে। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ এখন অনেক আশঙ্কা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয়েছে, নির্বাচনেরTIMETABLE আগেই ঠিক আছে এবং এর বিকল্প নেই। অন্যথায় জাতির ক্ষতি হবে, পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের ফেরার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। বিদেশেও কেউ কেউ এর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি সতর্ক করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে ছিল। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন গণমাধ্যমের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন। অনেকেই অভিযোগ করেন যে, বিএনপি সংস্কারবিরোধী, তবে সত্যি এটি নয়; সব সংস্কারই বিএনপি হাত ধরেই হয়েছে।
অপর একটি বিষয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এই ধরনের অভিযোগের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না, বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।