স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে, এ বিশ্বাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। তিনি শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নানাভাবে নির্ভর করে অংশগ্রহণকারী দলের আচরণের ওপর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রস্তুত থাকলেও, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সহযোগিতায় সরকার একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, যদি কোনো দল বা ব্যক্তি নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করে, তবে তা দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতোটা প্রস্তুত, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সচেতনতা ও সহযোগিতার ওপর।
বৈঠকের বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, রোববার (৩১ আগস্ট) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির একটি সভা হয়েছে, যেখানে সার্বিক আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ, মদন নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উসকানি ও ফেক নিউজ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে রাজনৈতিক ঐক্য বজায় রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়, যেখানে বলা হয়, বৃহত্তর স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দল, ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে একত্রিত থাকতে হবে। এর মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা ঠেকানো সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ যাতে বেশি আক্রমণমূলক না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। কিছু দুর্দশার ঘটনা ঘটছে, যেমন আগুনের ঘটনা বা পরিবেশে অস্থিতিশীলতা, এগুলো ধীরে ধীরে কমাতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাজধানী ও আশপাশে বিভিন্ন সংগঠন অবরোধ দিলেও সেগুলো জনদুর্ভোগ বাড়াতে পারে। তার জন্য তিনি জনগণকে অনুরোধ করেন যেন অবরোধ বা ধর্না চালানোর পরিবর্তে খোলা মাঠ বা উদ্যানে তাদের দাবি-দাওয়ার জন্য সমবেত হন, এতে জনদুর্ভোগ কমবে।