কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরোপুরি সঞ্চালন সম্ভব হয়নি কারণ খাদ্য বিভাগের এনওএমএস ও খাদ্যবাব্ধ ডিলার নিয়োগের পুনঃতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২৫ সালের ২১ আগস্টের নোটিশ অনুযায়ী, ২৬ আগস্টের মধ্যে আগষ্ট মাসের চাল উত্তোলন ও বিতরণ করার নির্দেশনা ছিল। এর পাশাপাশি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা – ২০২৪ এর ৮.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে সাময়িকভাবে চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ২৭,২৩৪ সুবিধাভোগীকে ৩০ কেজি করে চাল, প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে বিতরন করার পরিকল্পনা রয়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ইউনিয়নগুলোতে ডিলারের মাধ্যমে চাল বিতরণের কাজ চলছিল। তবে গত জুনে পুরোনো ডিলারদের চুক্তি সমlauf ছিল, ফলে নতুন ডিলার নিয়োগে বিলম্বের কারণে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য, নতুন ডিলার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কমিটির মাধ্যমে আগষ্ট মাসের চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নে ৪৩ মে.টন ৪৭০ কেজি, থেতরাইতে ৬৩ মে.টন ৩৩০ কেজি, তবকপুরে ৭৭ মে.টন ৯১০ কেজি, হাতিয়ায় ৬৮ মে.টন ৬শ ৪ কেজি, দলদলিয়ায় ৫৮ মে.টন ৯৫০ কেজি, ধরনীবাড়ীতে ৬৫ মে.টন ১৩০ কেজি, ধামশ্রেণীতে ৫২ মে.টন ৫৬০ কেজি ও বেগমগঞ্জে ৪১ মে.টন ৩৪০ কেজি চাল বিতরণের জন্য ডিও প্রদান করা হয়েছে। এসব বিতরণে মোট ৮১৬ মে.টন চাল ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মিসবাহুল হোসাইন বলেন, নতুন ডিলার নিয়োগের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২৬ আগস্টের মধ্যে ডিও প্রদান করা ছিল। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। তিনি আরও বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও নীতিমালা অনুযায়ী, এই মাসের চাল ইউনিয়ন পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরন বিধি মোতাবেক, চলতি মাসের চাল উত্তোলন ও বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এখনো নতুন ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় আগষ্ট মাসের জন্য সরবরাহের অস্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।