কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পুর্ব সাগর থেকে আবারও তিনটি ট্রলারসহ ১৫ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আরাকান আর্মি। ঘটনা ঘটে রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় যখন সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সীতা এলাকায় মাছ ধরার সময়, ওই জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম। তিনি জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের গলাচিপার মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারগুলোকে স্পিড বোটের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সদস্যরা ধাওয়া করে। জেলেরা তখন পালিয়ে যায়, কিন্তু আফসারের ভাই নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন ট্রলারটি ধরা পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অন্য ট্রলারগুলো ঘটনাটি বুঝতে পারে না। এ পর্যন্ত ২৩ দিনে অর্থাৎ ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত, ১০টি ট্রলারসহ ৬৩ জন জেলেকে অপহরণ করেছে এই গোষ্ঠী। আরাকান আর্মির এই কর্মকাণ্ডে গত ২৬ দিনে ১৩টি ট্রলারসহ মোট ৭৮ জন জেলে অপহরণ হয়েছে, যাদের এখনও স্বজনরা খুঁজে পাচ্ছেন না। এর আগে গত ডিসেম্বর থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ২৮২ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে কিছু জেলেকে স্বজনরা বিজিবি ও সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরে পেয়েছেন। তবে এখনও অনেকের খবর নেই। ভারতের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না আসলেও, ২৮ আগস্ট রামুয়ে এক মতবিনিময় সভায় বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমদ জানান, এই পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির অধীনে রয়েছে এবং বাংলাদেশি নৌযান ও জেলেদের ধরে রাখার বিষয়ে তাদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে চাই যেন আর কোন জেলেকে অপরাধী করে না নেয়া হয়।