আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন।
অঘোষিতভাবে বিকেল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও হেফাজতে ইসলাম বোঝাপড়ার জন্য বৈঠক শুরু হয়। এসব দলের মধ্যে রয়েছেন নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় গনতন্ত্র ফ্রন্ট।
এর আগে, রবিবার বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ঐ ভাষণে জোনায়েদ সাকি জানান, তারা দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। প্রথমটি হলো নির্বাচনী পরিবেশ ও অপরটি হলো বিচার ও সংস্কার। তিনি বলেন, সরকার এখনও প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে পারেনি, যার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলশ্রুতিতে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর রাজনৈতিক মহলে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
সাকি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্য গঠনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। বিচার ও সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারকে দৃশ্যমান ও কার্যকর করা জরুরি, পাশাপাশি কিভাবে সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, এমন কিছু বিষয় যেগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নয়, সেগুলোর জন্য দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে বর্তমান সরকারকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এরপর সংসদে তা বৈধতা পাবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, যেসব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট, সেগুলোর জন্য জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এজন্য তারা প্রস্তাব করেছেন, আসন্ন নির্বাচনের নাম পরিবর্তন করে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’ করা হবে। তিনি বলছেন, এর মাধ্যমে সংবিধানে মূল সংস্কারগুলো বাস্তবায়িত হবে, অন্যদিকে পাঁচ বছর ধরে সরকার সংসদীয় ধারায় দায়িত্ব পালন করবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা চালিয়ে যাবে।