সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার কুন্দড়িয়া চুমুরিয়া এলাকায় পুলিশ একটি বাগান থেকে পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এ খবর নিশ্চিত করেন আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন। নিহত বিজন কুমার দে একই উপজেলার পাইথালী গ্রামের ভজন দে’র ছেলে এবং একজন মাছের পোনা ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি আশাশুনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ পাইথালী দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ছিলেন। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি লাল গেঞ্জি ও নীল প্যান্ট পরা অবস্থায় তার লাশ দেখেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন বিজন কুমার দে’কে সনাক্ত করেন।
সাতক্ষীরার মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন বলেন, “বিজন খুবই পরিচিত ব্যক্তি এ এলাকায়। তার অকাল মৃত্যু খুব দুঃখজনক।”
বিজনের বড় ছেলে প্রণব দে বলেন, “বাবা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় ছিল। সকালে তার লাশ উদ্ধার হলো।”
প্রণব আরও বলেন, “বাবা বেশ সুস্থ ছিল। তার মৃত্যু কিসের কারণে হয়েছে তা দ্রুত জানা দরকার।”
নিহতের ছোট ভাই ও স্কুল শিক্ষক রঘুনাথ দে বলেন, “স্ত্রী মারা যাওয়ায় দাদা একাই থাকতেন। রাতে তার বউ তাকে খাওয়া দাওয়া দিয়ে যেত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় পাইথালী বাজারে যান, এরপর আর ফেরেননি। পরে জানাজানি হয় যে তার লাশ পড়ে রয়েছে কুন্দড়িয়া চুমুরিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে।”
আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন বলেন, “মৃত্যুর কারণ এখনো সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।”