মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিত করতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ, কথা ও কর্ম সব মুসলমানের জন্য আবশ্যক অনুকরণীয়। এই কথা বলেছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ বক্তব্য ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি দেশবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আজকের দিনটি মহিমান্বিত, কারণ এই দিনেই আল্লাহর সর্বশেষ রাসুল, হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার আগমন মানবজাতির জন্য রহমত, শান্তি ও মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার ও অন্ধকার দিগন্তকে উজ্জ্বল করে তিনি মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন নাজিল করে মহানবী (সা.)-এর মাধ্যমে জগতে তাওহীদের প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের শান্তিসুলভ বার্তা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, মহানবী (সা.) সমাজে ন্যায্যতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠা শুধু নয়, সব মানুষের ন্যূনতম অধিকারে মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করেছেন। তাঁর জীবনাদর্শ আমাদের অন্তরে আলো জ্বালায় এবং ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালিন মুক্তি নিশ্চিত করতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতিটি কথা, কর্ম ও জীবনদর্শন মুসলমানদের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ অনুসরণীয়।
রাষ্ট্রপতি আরও উল্লেখ করেন, এই জীবনদর্শন আমাদের জীবনকে আলোকিত করে তুলুক। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমাদেরকে মহানবী (সা.)-এর সুদর্শন আদর্শের অনুসরণ করার তৌফিক দিন। তিনি এই স্বপ্ন দেখেন, একদিন আমরা সকলেই তাঁর জীবনদর্শন অনুসরণ করে কল্যাণ ও শান্তির পথে এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আমাদের দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য শুভকামনা ও সফলতা কামনা করে সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আমিন।