থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্যবসায়ী ও ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুলকে নির্বাচিত করেছে। এই পরিবর্তন এসেছে গত সপ্তাহের আদালতের রায়ের পর, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে আমলে নিতে বাধ্য হয় দেশটি। এভাবেই গত দুই বছরে তৃতীয়বারের মতো নতুন সরকার এসেছে থাইল্যান্ডে।
অনুতিনের ভূমিহাইথাই পার্টি, যা সিনাওয়াত্রা পরিবারের বিরোধী, দেশটির গুরুত্বপূর্ণ জোট ফিউ থাই নেতৃত্বাধীন পার্টি থেকে সরে গিয়ে সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা পুরোপুরি মোচন হয়নি, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদালতের রায় ও সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকার পরিবর্তিত হয়েছে।
সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য এই পরিস্থিতি বড় আঘাত। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর থেকে তারা থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে থাকসিনের ব্যক্তিগত বিমান দেশ ছাড়ার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
সুন্দর সকালেই (৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে থাকসিন জানিয়ে পাঠান, তিনি চিকিৎসার জন্য দুবাইগমন করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ৯ সেপ্টেম্বর আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তবে এই মামলার ফলাফল এবং তার আবারও কারাগারে যাওয়ার শঙ্কা এখনো রয়ে গেছে।
সিনাওয়াত্রা পরিবারের জনমুখী নীতির ফলে তারা নীচের আয়ের জনগণের মাঝে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল, যা ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়িয়ে দেয়। ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে এই পরিবার ক্ষমতা হারান।
পেতংতার্নের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা অনেকের জন্য সিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হলেও, তার অপসারণ নিশ্চিত করেছে যে, পরিবারটি আবারও রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী ও অভিজাতদের আস্থা হারাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি।
আজকালের খবর/ওআর