লক্ষ্মীপুরে একটি মাঝের গভীর খালে বাস খালে পড়ে আহত ও নিহতের সংখ্যা আবারও বেড়ে গেছে। বর্তমানে নিহতের সংখ্যা पांचজনে পৌঁছেছে, তবে আশা করা হচ্ছে সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে, সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে বোর্ডের সামনে, স্বাস্থ্যকর ও সড়ক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই দুর্ঘটনা।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক জানান, দীর্ঘদিনের দাবি মতো সড়কে সচেতনতাকে বাড়ানোর জন্য সবাই সচেষ্ট হলেও এখানে নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি।
নিহতরা হলেন মোরশেদ আলম, জয়নাল আবেদীন এবং হুমায়ুনুর রশিদ। তাঁদের পরিচয় জানা গেলেও এখনও আহত ব্যক্তিদের নাম বা ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রতক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরগামী আনন্দ পরিবহনের সঙ্গে একটি অন্য একটি গাড়ির সংঘর্ষ নয়, বরং চালকের ভুল বা নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে বাসটি রহমতখালী খালে পড়ে যায়। বাসটি ডুবে যাওয়ার ফলে অনেক যাত্রী আহত ও নিহত হন।
ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে যানজট তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে প্রথমে অচেতন অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়, অন্যথায় আরো বেশ কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার ও ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এই দুর্ঘটনা সড়ক নিরাপত্তার ব্যাপারে আবারো জোরালো আলোচনা সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সবাই নিরাপত্তা বিধানে আরও কড়াকড়ি ও সচেতনতামূলক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
আজকের খবর / বিএস