ব্রাজিল এক ঐতিহাসিক ম্যাচে চিলির বিপক্ষে বড় জয়ে সমর্থকদের মনে উচ্ছ্বাসের আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় মারাকানায়, যেখানে ২০২২ বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ ছিল। কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তির নির্দেশে এ সংস্করণে চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচটি আয়োজন করা হয়। প্রাকৃতিক জয় নিয়ে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা এস্তেভাও গুইমারেস, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গুইমারেসের গোলের মাধ্যমে জয় উদযাপন করে। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ব্রাজিলের এই ম্যাচে তারা চিলিকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে।
ব্রাজিলের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি তাদেরই রয়েছে, যেখানে চিলির প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা অনেকটাই সেরা। গত বছর অক্টোবর মাসে তাদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল ২-১ গোলের জয় পেয়েছিল। মোট ৭৪ ম্যাচে ব্রাজিলের জেতা ম্যাচের সংখ্যা ৫২, যা বিশ্বরেকর্ড। এই দিন চারজনেরই গোল করেন, তারা হলেন তরুণ তারকা এস্তেভাও উইলিয়ান, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গুইমারেস।
ম্যাচের পুরো সময়জুড়ে ব্রাজিল দাপট দেখিয়েছে। তারা বলের দখলে ৬৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ২২টি শট নেয়, যার মধ্যে ৭টি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে চিলি কেবল ৩টি শট নেয়, যেทั้งหมดই লক্ষ্যে রূপায়িত হয়নি, যা বোঝায় যে স্বাগতিক ব্রাজিলের রক্ষণ ভঙ্গ করতে চিলির সুবিধা হয়নি। শুরু থেকেই ব্রাজিল আক্রমণে সচেষ্ট ছিল। পঞ্চম মিনিটে ক্যাসেমিরো হেডে গোল করার চেষ্টা করেন, তবে তিনি অফসাইডের কারণে izany আলাদা হয়।
প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটের দিকে ব্রাজিলের দলীয় আক্রমণে রাফিনিয়া গোলের খুব কাছে পৌঁছায়। বল পেয়ে ড্রিবলিং করেন রাফিনিয়া, কিন্তু গোলরক্ষকের বাধা পেয়ে বল ফিরে যায়। এরপর এস্তেভাও আবার লাফিয়ে মাথায় বল ঠেকিয়ে জালে পাঠান। এই গোলটি করে তিনি ব্রাজিলের অন্যতম কনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে জায়গা করে নেন, ১৭ বছর ৪ মাস বয়সে।
বিরতিতে চিলির জন্য বড় ধাক্কা আসে। মারিপানাকে লাল কার্ড দেখানো হয়, যেখানে ওয়েসলি তাকে বেপরোয়া ফাউলে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পরে আবার মনিটর দেখা হয়, ফলে তার জন্য সরাসরি লাল कार्ड বদলে হলুদ কার্ড হয়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল বেশ কয়েকটি বদলি করে। বদলি হিসেবে নামেন লুইস হেনরিক, কাইও জর্জ ও পাকেতা। বিশেষ করে ওয়েস্ট হ্যামের এই মিডফিল্ডার আবার ফিরেছেন।
দ্বিতীয় গোলটি আসে হেনরিকের হেডে। তার পরে পাকেতা লাফিয়ে হেড করে বল জালে পাঠান। এরপর আবারও ব্রাজিলের গোলে উৎসবের আমেজ দেখা যায়। হেনরিকের শট পরকারিতে গ্যালারির উচ্ছ্বাস হয়, তবে গোল হয়নি। কিন্তু পেরে গুইমারেসের জোরালো শটে ব্রাজিলের এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুরো সময় ধরে ব্রাজিল আকড়ে থাকে আক্রমণে, বড় জয় নিয়েই তারা মাঠ ছাড়ে। এই জয়ে ব্রাজিলের ফুটবল প্রেমীদের উৎসবের মেজাজ বেড়ে যায়।