বিশেষ করে ব্যাংকটির চলমান সংস্কার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগে আদালত সম্প্রতি রিটকারীদের ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই জরিমানার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ইউসিবি ব্যাংকের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং বাকিগুলো সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও মার্শাল অফিসে জমা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্যাংকের নিরাপদে এবং স্বচ্ছভাবে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আদালত কড়া নজরদারি আরোপ করেছেন।
প্রতারণার মাধ্যমে রিট পিটিশন দাখিলের অভিযোগে শুরুতে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ এজিএম স্থগিত করেন। তবে পরে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ অনুমতি দেন এবং এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে, অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান জানান, কয়েকজন পিটিশনকারী দেশের বাইরে থাকলেও তারা হলফনামা দিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে তারা উপস্থিত ছিলেন, যা আদালত ও শপথ কমিশনারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কমপক্ষে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডিংয়ের যোগ্যতা দেখানো হয়েছে, যা ব্যাংকের সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ চেষ্টা করা হয়। ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রতারণাপূর্ণ কাজগুলো দিয়ে ব্যাংকের পুনর্গঠন কার্যক্রম ব্যাহত করতে চেয়েছে কিছু পক্ষ।
উদাহরণস্বরূপ, ইউসিবি চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমানতকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এর ফলেই এ বছরের প্রথম আট মাসে নেট ডিপোজিটের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯,৫০০ কোটি টাকার বেশি এবং নতুন একাউন্ট খোলা হয়েছে ৪,৫০,০০০ এর বেশি, যা একেবারেই নজিরবিহীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে এক বলিষ্ঠ বার্তা যে, কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি বা প্রতারনা কঠোরভাবে নজরে রাখা হবে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এর ফলে ভবিষ্যতে কেউ যেন আর এই ধরনের প্রতারণা বা বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা না করে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই রায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।