আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শিল্পী অপুর রাজনীতি জড়ানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছেন নতুনভাবে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাকে দেখা গেল বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত কোনো এক অনুষ্ঠানে, যা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ঘটনার পর দিন তিনি মুঠোফোনে বলেন, এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার কোন dikta করেনি, তাকে জানানো হয়নি যে এটি বিএনপির আয়োজনে। শুধু জানানো হয়েছিল যে, এটি একটি স্কুলে অনুষ্ঠান। সেখানে তিনি চেষ্টা করেছিলেন পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত ফিরে যেতে, কিন্তু তখনও নিরব তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সেখানে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে, এই অনুষ্ঠানটি ছিল বিএনপি সমর্থকদের একটি রাজনৈতিক শোডাউন, যেখানে তিনি চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। তবে এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই মনে করেন, অপুর এইভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে জড়ানো উচিত নয়; এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখানো হলেও, অনেকের মতে, এটা তার রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষারই পরিচায়ক। অপু অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এখন আর রাজনীতির সাথে যুক্ত নন, শোবিজে ব্যস্ত থাকাই তার মূল কাজ। তিনি বলেন, আমি সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে, আমার জীবনযাত্রা চলতে হয়, কারণ আমি একজন শিল্পী ও একমাত্র সন্তান সন্তানের জন্য জীবিকা earning করতে হয়। এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অপুর রাজনীতির যোগ ছিল স্পষ্ট। তিনি বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াসহ আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন। এই ঘটনা তার রাজনৈতিক অবস্থান ও সামাজিক চিত্রের মধ্যে নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য এবং সমালোচনা চলছে, যেখানে কেউ কেউ বলছেন, অপুর এই আচরণ একটি রাজনৈতিক অপচেষ্টা। অন্যদিকে, তার এই কর্মকাণ্ডের পেছনে নিরবের ভূমিকাকে দিয়েও আলোচনা হচ্ছে, যাকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভাজন দেখা দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, অপু বিশ্বাসের এই ডিগবাজি শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি এখন একটি রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।