ভারতীয় উপমহাদেশে সিনেমায় গান ছাড়া মনেই হয় না। এরকম একটি শিল্পের ইতিহাসে বিভিন্ন সময় একাধিক গান থাকলেও, কবে শেষ শেষ গানে ভরपूर স্বর ছিলো কলকাতা কিংবা ঢাকাই সিনেমায়, তা অংক করতে হবে। সময়ের পরিবর্তনে সিনেমার কাহিনী নিয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়, ফলে বর্তমানে গানের সংখ্যাও কমে আসছে, আর তাই গীতিকাররাও অনেকটাই দুর্লভ হয়ে উঠছেন। তবে দেরিতে হলেও, কাহিনী বিন্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সময়ের জনপ্রিয় গীতিকার সাংবাদিক জাহিদ আকবর জানিয়েছেন, একটি গানসমৃদ্ধ সিনেমায় তিনি চারটি গান লিখেছেন। এই সিনেমার নাম ‘নন্দিনী’।
প্রথমে বলি, বছরখানেক আগে শাকিব খান অভিনীত ‘দরদ’ সিনেমায় গান লিখেছিলেন এই গীতিকার। তবে এককভাবে এই প্রথম কোনও সিনেমায় চারটি গান লেখার অভিজ্ঞতা তার হয়নি। এই বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে তিনি সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যা হয়েছে পরিচালক সোয়াইবুর রহমান রাসেলের স্বপ্নের সিনেমা ‘নন্দিনী’ এর জন্য। এই সিনেমায় কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নাজিরা মৌ।
জাহিদ আকবর বলেন, ‘আমি একেবারেই কখনো চাইনি একটি সিনেমায় চারটি গান লিখতে। আমি সাধারণত এক বা দুটো গান লিখি। তবে ‘নন্দিনী’ সিনেমার জন্য পরিচালক আমাকে গল্প বলতেন, দৃশ্যের কথা শোনাতেন। সেই কথাবার্তাগুলোর মধ্যে থেকেই আমি প্রথম চারটি গান লিখে ফেলেছি।’
সিনেমার গানে থাকছে বিভিন্ন জনপ্রিয় শিল্পীর অংশগ্রহণ। ইমরানের সুরে ‘ব্যাকরণ’ শিরোনামে গানটি গেয়েছেন ন্যান্সি ও ইমরান। আর ‘মন মেলেছে ডানা’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কনাল। পাশাপাশি, কাজী শুভ সুর করেছেন ‘যাও ভেসে যাও’ ও ‘ও লাল মেম’ গানের জন্য, যেখানে এই গানের মাধ্যমে গাইয়েছেন কাজী শুভ, স্বরলিপি ও আসিয়া দোলা।
গান ছাড়াও সিনেমায় রয়েছেন দুই বাংলার তারকাদের উপস্থিতি। এই নির্মাণের মাধ্যমে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘নন্দিনী’। গান, গল্প আর অভিনয়ে এক ধরনের সমন্বয় ঘটেছে, যা দর্শকদের জন্য হতে যাচ্ছে এক অদ্ভুত ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা।
উপন্যাস প্রেমী পরিতোষ বাড়ৈয়ের ‘নরক নন্দিনী’ উপন্যাসের ধারণা থেকে প্রেরণা নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা, যেখানে এক সংগ্রামী নারীর গল্প উঠে এসেছে—নিত্য নিয়তির বিরুদ্ধে লড়াই করে দিন কাটানো একজন নারীর সংগ্রাম।
অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, এছাড়াও আছেন সাঈদ বাবু, ইলোরা গহর, জয়শ্রী কর, জয়া প্রমুখ। এই সিনেমা সত্যিই এক অনন্য আঙ্গিকে নির্মিত, যা দেখলে দর্শকদের মনে দাগ কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে।