স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা করেছেন, এবারের দুর্গাপূজায় মদ ও গাঁজার আসর বসানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি জানান, পূজামণ্ডপগুলোকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবীক্ষণে রাখা হবে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে না পারে। এর জন্য যথাযথভাবে পর্যাপ্ত আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন স্থানেই যা প্রায়শঃ মেলা বা বাজারের আড়ালে মদ ও গাজা বিক্রি ও পরিবেশিত হয়, সেই সব কার্যক্রম এবার বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, গাঁজা ও মদের আসর বসানো দণ্ডনীয় অপরাধ, এবং এই ধরনের কার্যকলাপ চলতে দেওয়া হবে না।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভার শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বর্ডার এলাকায় পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিজিবি বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে। এছাড়াও সারাদেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে উপযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
অতিরিক্ত তিনি জানান, ঢাকায় একটি নির্দিষ্ট লাইন বা রুটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে বিসর্জনের প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়। সারাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপ রয়েছে।
এবারের পূজা উদযাপনে কোনও বড় উদ্বেগ প্রকাশ করেনি পূজা কমিটি। গত বছর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছিল, এবং এই বছরও আরও সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।