ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে আবারও ইসরায়েলি বাহিনী একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে। এই হামলায় আরও অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন, যা স্বভাবতই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের বিবৃতি অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০টি ভবন ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে হাজারো পরিবার আশ্রয় হারাচ্ছে। এই তথ্যটি সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
গাজা সিটিতে চলমান এই ধ্বংসযজ্ঞ আরও তীব্র করে তুলেছে ইসরায়েলের হামলা। তারা একইসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এটি সন্ত্রাসী অবকাঠামো ছিল। তবে বাস্তবে দেখা গেছে, আল-রুয়া টাওয়ারের মতো এই ভবনটি পাঁচতলা ও বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, ক্লিনিক এবং জিমে ভর্তি ছিল। এছাড়া, আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, গত শনিবার ১৫তলা সউসি টাওয়ার এবং গত শুক্রবার ১২তলা মুশতাহা টাওয়ারে হামলার ফলে অনেক পরিবার গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় আতঙ্কোন্নত পরিস্থিতি চলমান থাকায় বহু পরিবার আশ্রয় হারিয়েছে। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, অথচ তারা দক্ষিণে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ঘোষণা করেছে এমন এলাকার ওপর বিশ্বাস না করার জন্য। তবে কথিত নিরাপদ এলাকা বললেও সেখানে বারবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
অবশ্য, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তারা সন্ত্রাসীদের উচ্চ ভবন ও অবকাঠামো ধ্বংস করছে। কিন্তু বাস্তবতা বেশ ভিন্ন; গাজায় অবস্থিত বেশিরভাগ ভবনই civilian স্থান, যেখানে অসংখ্য পরিবার আশ্রয় নেয়।
প্রতিবেদনেও দেখা গেছে, গাজা অঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণ চলমান রয়েছে। দূরনিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক রোবট ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনারা আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে, যেখানে স্কুল, মসজিদ এবং সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আল-ফারাবি স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, যার ফলে অনেক পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছেন, যেখানে শিশুরাও রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে গাজায় অব্যাহত সেনা অভিযান চলছে। সর্বশেষتع স্থানে আতঙ্ক ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে এবং পরিবারগুলো প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্র এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গাজা পুরোপুরি হিসেবে বিপর্যস্ত রকমের পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।