নেপাল সরকার cuốiত্বর শৈথিল্যর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের মুখে অবশেষে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক বিক্ষোভ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যোগাযোগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং জানান, সরকার জেন জি-দের দাবি মান্য করে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে, এবং আন্দোলনকারীদের প্রতি অনুরোধ রইল— শান্ত থাকুন, বাড়ি ফিরে যান। এছাড়াও, ওই বৈঠকে এই সহিংসতার জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বলাবাহুল্য, গত বছর নেপালের সుప্রিম কোর্ট দেশটির সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধিত করার নির্দেশ দেন। এর ভিত্তিতে, সরকার গত ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবন্ধনের আহ্বান জানায়। তবে, নির্ধারিত সময়ে বেশিরভাগ সংস্থা নিবন্ধন না করায় সরকার ২৬টি অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা কার্যকর হয় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে। এই নিষেধাজ্ঞা মূলত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী দিনগুলোতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদে পর্যায়ক্রমে সরকারবিরোধী আন্দোলন চরমে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থী ও হৈচৈ জনতা কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নামেন। এই আন্দোলনে, শ্লোগান উঠতে থাকে— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। ক্রমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, এবং বেশ কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ২০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এই পরিস্থিতিতে, আন্দোলনের চাপে আগামী দিনে সরকারের পদত্যাগে চাপ বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে, আবেগে উত্তাল আন্দোলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের পদত্যাগও ঘটে। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পক্ষে থেকে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ কখনও নেপালে সরকারিভাবে নিবন্ধন করবে না। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় দেড় বছর ধরে এই ২৬টি প্ল্যাটফর্মের নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা শুধু তাদের আইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছি, কারণ এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।” এই সিদ্ধান্ত ও পরিস্থিতির সারসংক্ষেপে, নেপালের জনগণের ক্ষোভ ও আন্দোলনের চাপে অবশেষে সরকারের মনোভাব পালটে গেছে।