সরকার চলমান নানা উদ্যোগের অংশ হিসেবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা কমানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে। এর মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্তদের কতটা অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে নারীদের জন্য সাজা মেয়াদকে ২০ বছর করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের আগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকটি সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, কারাগারে বেশ কিছু সমস্যা বিদ্যমান, যার জন্য কিছু সংস্কার জরুরি। পাশাপাশি, বাজেটের অভাবে যেসব রোগী বা বয়স্ক বন্দি আছেন, তাদের জন্য ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যয় বেশি হচ্ছে। তিনি জানান, তারা চাইছেন যেন দণ্ডের পরিমাণ কমিয়ে উপযুক্ত করে দিতে।
বিশেষ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভাবছে — যাদের দণ্ড জীবনকাল ৩০ বছর, তাদের সাজা কমানোর বিকল্প আলোচনা চলছে। যারা বৃদ্ধ বা আরোগ্যপ্রাপ্ত, তাদের মুক্তির ব্যবস্থা সহজ করার জন্য কাজ চলছে।
সাংবাদিকরা যখন জানতে চান, কত বছর নির্ধারণ করা হবে, তখন উপদেষ্টা বলে যান, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নারীদের ক্ষেত্রে অন্তত ২০ বছর সাজা নির্ধারণের জন্য আলাপ চূড়ান্ত হতে পারে, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো একটু বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু নিয়ম রয়েছে এবং কত বছর পর কারা মুক্তি পাবে, সেগুলো দেখা হবে। বিশেষ করে, যারা ১৮ বছর বয়সে অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাদের জন্য কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, নারীদের জন্য এই অনুকূল সুযোগটি বেশি হতে পারে।
অপরাধ ও অস্ত্র উদ্ধারসংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, প্রতিদিনই লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। নির্বাচনকালে আইনশঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে যেন সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে।
এ বিষয়ে সবশেষ আপডেটগুলো মূলত সরকারের বিচার ও নিরাপত্তা উদ্যোগের অংশ, যেখানে দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তির ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।