অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, বলেছেন যে তত্ত্বাবধায়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, কিছু ব্যক্তির আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে চুরি করে পালানো হয়েছে। এই মন্তব্য করেন তিনি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিচালকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে। এই বৈঠকে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এবং বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চলমান সংস্কার ও আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সফলভাবে পুনরুদ্ধারে তার অবদান ও দায়িত্বের জন্য তিনি গর্বিত। তিনি উল্লেখ করেন, দেশি-বিদেশি সব ধরণের সংকটের মধ্যেও এই সংস্কার এবং সর্তক পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ পুনরুদ্ধার, বৈদেশিক বাজারের স্থিতিশীলতা, এবং বাজারভিত্তিক বিনিমय হার কার্যকর করার ব্যাপারে সরকারের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং খাতের পুনর্গঠন ও রাজস্ব সংগ্রহের জন্য শুরু হওয়া নানা পদক্ষেপ প্রমাণ করে, বাংলাদেশ এই সংকটময় সময়কালে সংকটের মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাঁর ভাষায়, আমাদের অর্থনীতি ভগ্নস্তূপের মতো ছিল; কিছু ব্যক্তির বিশেষ করে লুটেরার আছেন যেখানে আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে পালিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আভিপ্রায় তুলে ধরেন। পাশাপাশি ঢাকার বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প, যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনাও তিনি আইএমএফের উপস্থিত প্রতিনিধিদের অবহিত করেন। এই আলোচনা চলাকালে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার।