সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু তার অন্যতম প্রিয় পানীয় ডায়েট কোক খাওয়ার অনুমতি চান। এরপর তার আইনজীবী আবেদন করেন, যাতে তিনি ডায়েট কোক, স্যান্ডউইচ এবং পানি খেতে পারেন। কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেনি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এই অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল নয়টার দিকে তাকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর তার কোমরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হাতকড়া ও হেলমেট পরিয়ে দ্বিতীয় তলার ২৮ নম্বর কোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে তার মাথায় হেলমেট ও হাতকড়া পরানো হয় ও জ্যাকেট খুলে দেওয়া হয়। বয়স্ক ও অসুস্থ থাকায় তার জন্য একটি স্টুল ও বরাদ্দ করা হয়।
এরপর, যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুব handelen মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাখাওয়াত হোসেন তার গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন।
গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে তার আইনজীবী মহসিন রেজা আদালতকে জানান, আমু সাহেব অসুস্থ এবং তিনি বয়স্ক। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে আধা ঘণ্টা পর পর খেতে হয়। তিনি আরও জানান, আজ তিনি ডায়েট কোক, স্যান্ডউইচ এবং পানি খাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন কারণ এগুলো তার খুব প্রিয়। নিজে অসুস্থ থাকায় ও তার খাদ্য অভ্যাসের জন্য এই অনুমতি চান। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রসিকিউশনের ইন্সপেক্টর মো. জাহিদ জানিয়েছেন, খাবারের স্বাদ পরীক্ষা ও গুণগত মানের বিষয়ের জন্য আদালত এই আবেদন নাকচ করেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে মহসিন রেজা বলেন, তিনি বলেছেন, “আমু সাহেব অসুস্থ ও বৃদ্ধ। চিকিৎসকের অভিমত অনুযায়ী তাকে নিয়মিত খেতে হবে। আজ আমি ডায়েট কোক, স্যান্ডউইচ এবং পানি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। এই খাবার তার খুব প্রিয়। এর আগেও আদালত তাকে খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তবে আজ আদালত টেস্টিং বিষয়টি বিবেচনা করে অনুমতি দেননি।”
অন্যদিকে, তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে, যেখান থেকে ১৩টিতে তার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তার পারিবারিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, তার স্ত্রী আগে মারা গেছেন, নতুন করোনি বিয়ে করেননি এবং কোনও সন্তানও নেই। তার দেখাশোনার জন্য পরিবার বা অন্য কোনও আশ্রয় নেই। তাকে দেখভাল করেন তার ম্যানেজার এবং কাছের কিছু লোকজন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শেষ দিন, শ্রমিক মো. রিয়াজ যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক রোডে আন্দোলনে অংশ নেন। ওইদিন দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। এ বিষয়ে, তার স্ত্রী ফারজানা বেগম গত ২২ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগেরসূত্রে জানানো হয়, গত বছরের ৬ নভেম্বর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা ডিবি পুলিশ। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার গ্রেপ্তারি দেখানো হয়।
এটি ছিল আজকের খবর।