আজ ঢাকায় জামায়াতসহ সাতটি রাজনৈতিক দল একযোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।এর মূল লক্ষ্য হলো তাদের পাঁচ দফা দাবি সামনে আনা এবং সরকারের নানা নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এসব দল নানা কর্মসূচি পালন করবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) যৌথভাবে এই কর্মসূচি জানায়।
দলের সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হবে। এই সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
বিকেল জোহরের নামাজের পর, জামায়াতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর প্রাঙ্গণে তোমাদের জন্য বিক্ষোভ মিছিল বের করবে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
অপরদিকে, একই সময়ে প্রেস ক্লাবের সামনে তিনটি দল—খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি—বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। বিকেল ৩টায় খেলাফত মজলিসের নেতারা সড়কে অবস্থান করবেন, পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও একই সঙ্গে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি তাদের বিক্ষোভ মিছিল বের করবে। অন্যদিকে, বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে প্রতিবাদমুখর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মূল দাবি ও আদর্শের ভিত্তিতে এ কর্মসূচিগুলো আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ দলই ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মারাত্মক ৫ দাবির পক্ষে রায় দিয়েছে। এ দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
– জুলাই মাসে জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।
– সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (প্রিপার্টিভ রাউন্ড) পদ্ধতি চালু করতে হবে।
– অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনার জন্য সবাইকে যেন একটি সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়।
– ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম ও গণহত্যার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং এর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
– স্বৈরাচারদমনকারী জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ও বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও ঐক্য গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রকাশ করছে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জনগণের সমর্থন চাচ্ছে।