সরকারি আবাসন পরিদপ্তরে অনিয়ম, ঘুষ দাবি এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিন জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে পদক্ষেপ নেয়।
প্রথমে, উপপরিচালক রাশেদ আহম্মেদ সাদী এবং সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়, যারা ব্যক্তিগত দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য অভিযুক্ত। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে বাসা বরাদ্দে অনিয়ম, মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি, এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ অর্থোপাজনের অভিযোগ উঠেছে। তারা দায়িত্বে থাকলে তদন্তপ্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার ও অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় তাদের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিলাল হোসাইন বিধিমালা অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য থাকবেন।
অপরদিকে, উপপরিচালক রাশেদ আহম্মেদ সাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির বাসা বরাদ্দ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, তিনি বাসা বরাদ্দের জন্য মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি করেছিলেন এবং এতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অভিযোগও তদন্তাধীন এবং তদন্তের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাশেদ আহম্মেদ সাদীও বিধিমালা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এবং তার ভাতা আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
তিনজন কর্মকর্তার মধ্যে অন্য একজন হলেন, সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ভাতা অনুযায়ী চাকরির সুবিধা চালু থাকবো।
এই সিদ্ধান্তগুলো দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের অংশ, যাতে নিশ্চিত হতে পারে সরকারি সম্পদ ও আদর্শ।