সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সমস্যা সমাধানে আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। এই উদ্যোগ সবাইকে নিয়ে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই দেশের মানুষকে। তিনি জানান, দেশের অগ্রগতি এবং সিদ্ধান্তগুলো পূর্বেও সাধারণ জনগণ নিয়েছে, ভবিষ্যতেও তারা তা নেবে। বাইরের কোনো বাহ্যিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন নেই।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা ছাড়া রাজপথে কর্মসূচি দেওয়া যেমন অপ্রয়োজনীয় ও অহেতুক, তেমনি এটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। ফখরুল প্রশ্ন করেন, এভাবে রাজপথে আসা কি কোনো সমস্যার সমাধান করবে? তিনি বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এই ব্যাপারে তার কোন সন্দেহ নেই। তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট থেকে বিএনপি কোনো ইস্যুতে রাজপথে আসেনি। বরং আলোচনার মাধ্যমে সব ধরনের সমস্যার সমাধান চাইছে। ফখরুলের বিশ্বাস, এসব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেছেন, বিএনপি সব সময় মনে করে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপি পিআরয়ের পক্ষে নয়। এ ধরনের কোনো ভিত্তি তাদের নেই। তিনি বলেন, বিএনপি বারবার স্পষ্ট করে বলেছে, পিআরয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে পিআরয়ার প্রয়োজন নেই। চলমান আলোচনা ছয় জুলাইয়ের সনদ নিয়ে চলছে, সেই সব বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দলটি। তিনি বলেন, সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয় হলো, জনগণের সমর্থন যথাযথ পাওয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি পার্লামেন্টের রায়ই সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধনী করার মূল পথ।
তিনি উল্লেখ করেন, আগে থেকেই বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয়।
জাতিসংঘে যাওয়ার বিষয়ে ফখরুল বলেন, এখনো তারা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি। ড. ইউনূসের সঙ্গেও এখনও আলোচনা হয়নি। ফলে সেখানে সরকারের কী ভূমিকা থাকবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং উন্নয়নের বিষয়গুলোই প্রাধান্য পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।