জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মোট ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে মোট অর্থ খরচ হবে approximately ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ হিসেবে আসবে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, এবং সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন হবে ২ হাজার ৬৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, পরিকল্পনা কমিশনের চতুর্দিকে একনেকের সভাকক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার প্রধান অতিথি এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন ৭টি, সংশোধিত ৫টি এবং ব্যয় অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মেয়াদ বৃদ্ধি পায় এমন ১টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থ ও বিজ্ঞান উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-উপদেষ্টা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সর্বমোট অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্প হলো:
1. মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রকল্প ‘তথ্য আপা: তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়, ৩য় সংশোধিত)’।
2. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আধুনিক গবেষণাগার ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প।
3. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প: ২০০০ হর্স পাওয়ারের রিগ ক্রয়, মূল্যায়ন ও উন্নয়নের জন্য কূপ ও অনুসন্ধান কূপ খোদনের প্রকল্প, পাশাপাশি নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ।
4. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (EC4J)’ প্রকল্প।
5. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকার জন্য বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের ৩য় পর্যায়ের প্রকল্প।
6. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল’ (প্রথম সংশোধিত)।
7. স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের খুলনা পানি সরবরাহ, নারায়ণগঞ্জের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যূত পারিপার্শ্বিক জনগণের জন্য জীবনযাত্রার উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো। পাশাপাশি, ঢাকার মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল বাস ভবন কNouসের পরিকল্পনাও অনুমোদন পায়।
এছাড়া সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, নতুন একটি প্রকল্প হিসেবে অনুমোদন হয়েছে।
এসব প্রকল্পে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও বিপুল পরিমাণের অগ্রগতি সাধিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।