২০২৪-২৫ মৌসুমের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার এবার দেম্বেলেই উঠছে বলে প্রায় নিশ্চিত ছিল সকলের। তবে শেষ মুহূর্তে কিছু দ্বিধা ছিল, সেটা কাটিয়ে গেছে প্যারিসের বিখ্যাত শাতলিয়ে থিয়েটারে। এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি রোনালদিনিওর হাত থেকে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার তুলে নেওয়া হয়।
বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে উসমান দেম্বেলেকে সবচেয়ে বেশি টেক্কা দিয়েছিলেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লামিন ইয়ামাল। তবে ব্যালন ডি’অর ঘোষণার শুরুতেই অনিশ্চয়তা কেটে যায়, যখন জানা যায় লামিন ইয়ামাল যদি সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার পান, তখনও দেম্বেলেই জাতীয় ট্রফি ওঠে। ১২ কেজি ওজনের রঙিন স্বর্ণের ট্রফি তখন থেকেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল।
উসমান দেম্বেলে এই অর্জন দেখে অনেকেরই চোখে অশ্রু এসে যায়। খুবই শান্ত স্বভাবের এই ফুটবলার স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে উল্লসিত হয়ে কাঁদলেন। এই স্বীকৃতি তার জন্য অনেক কিছু পরিপূর্ণ করে দেয়। তার মা থেকে শুরু করে পরিবারের সবাই এই অব্যর্থ সম্মান পেয়ে খুবই গর্বিত।
শাতলিয়ে থিয়েটারে এদিন প্যারিসের ফুটবল প্রেমীদের জন্য ছিল জয়ের আনন্দোৎসব। উসমান দেম্বেলের পাশাপাশি সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনেকবার গভীরতো দেয়ার জন্য লুইস এনরিকে বঞ্চিত হননি। তিনি সেরা কোচ হিসেবে পুরস্কারও Earn করেন। ফলে এই পুরস্কারটি আবারও প্যারিসের ফুটবল দলের সাহস ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, টানা তৃতীয়বারের মতো নারীদের বিভাগে ব্যালন ডি’অর জয় করেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড আইতানা বোনমাতি। তার অসাধারণ পারফরমেন্সে শাতলিয়ে থিয়েটার আলোকোজ্জ্বল হয়েছে। সেই সঙ্গে আনন্দের আবহে অকাল প্রয়াত ফুটবলার দিয়োগো জটাকেও স্মরণ করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
এভাবেই আজকের এই অনন্য স্মরণীয় দিনে ফুটবলের জগৎ উৎসবে ভরে উঠেছে।