আগামী ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপের দরজা উন্মুক্ত হবে। পর্যটকদের জন্য এই দ্বীপে প্রবেশের অনুমতি থাকবে মোট চার মাসের জন্য, অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন। প্রথম দু’মাসে শুধুমাত্র দিনভর ভ্রমণের সুবিধা থাকলেও, শেষ দুই মাসে পর্যটকদের দ্বীপে অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হবে।
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব পর্যটন দিবসের উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান এই তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও উপস্থিত ছিলেন।
নাসরীন জাহান বলেন, পর্যটন খোলার আগে আমাদের দুটো দিক বিবেচনা করতে হবে—পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং পরিবেশের সুরক্ষা। বিশেষ করে, যেহেতু সেন্টমার্টিন ইউএন ট্যুরিজমের হেরিটেজ এলাকা, সেখানে প্রবাল রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য সীমিতসংখ্যক পর্যটককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পর্যটন ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করতে একটি সফটওয়্যার চালু করা হচ্ছে, যা জাহাজ শিল্পের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এই ব্যবস্থা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
সচিব জানান, ২০২৪ সালে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও অন্যান্য তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ছয় লাখ ২৫ হাজারের বেশি ছিল।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, নিজেদের পর্যটন অবকাঠামো ও সেবার মান উন্নত করলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে।