২৫ সেপ্টেম্বর উলিপুর উপজেলা পরিষদ অঙ্গনে ব্র্যাকের এক্সেলারেটেড এডুকেশনের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার ও বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাটি সকাল ১১টায় শুরু হয় এবং এতে বিভিন্ন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
মূল আলোচনার বিষয় ছিল করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সব স্কুল ১৮ মাসের জন্য বন্ধ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও উন্নয়নে ব্র্যাকের উদ্যোগ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন প্রচলিত ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঝরে পড়ার শিকার শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং ঝরেপড়া হার বাড়তে থাকে। এ সময় ব্র্যাকের সাহায্যে কিছু ঝরে পড়া শিক্ষার্থী পুনরায় স্কুলে ফিরে আসার জন্য এক্সেলারেটেড এডুকেশনের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ব্র্যাকের ‘Educate the Most Disadvantaged Children in Bangladesh (EMDC)’ প্রকল্পের আওতায় এই মডেলে, ১০ মাসের ধারাবাহিক শিক্ষায় ৪ মাসের ক্যাচ-আপ কোর্স (Bridge Course) ও ৬ মাসের ক্লাস ভিত্তিক পাঠক্রম চালানো হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগের শিক্ষাগত ঘাটতিগুলি পূরণ করে আবার মূল স্কুলে ফিরে যেতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে এই প্রকল্পের চতুর্থ বছর চলছে এবং এর আওতায় প্রায় ৪৮,৭৫০ শিক্ষার্থী ১৯৫০টি ব্র্যাক স্কুল থেকে এই মডেলে শিক্ষা গ্রহণ করছে। আরও ৩০,০০০+ শিক্ষার্থী ১২০০টি স্কুলে এই চালিকা কাঠামোতে অধ্যয়নরত রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত প্রায় ১,৪৭,৫০০ শিক্ষার্থী ৫,৯০০ স্কুল থেকে এই ১০ মাসের এক্সেলারেটেড শিক্ষায় অংশ নেবে।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম, ইএমডিসি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছিলেন গাইবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা। সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাকের ফিল্ড কো-অডিনেটর তপন কুমার সরকার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছাঃ নার্গিস ফাতিমা তোকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার খন্দকার মোঃ ফিজানুর রহমান, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ—মোছাঃ শিমু সুলতানা, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, মাসুমা খানম (মেরি), সহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য দেন।
এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার উন্নয়নে ব্র্যাকের অবদান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।