বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য না থাকলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবারও উদ্ভব হতে পারে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “দেশ স্বাধীন করার পর এক স্বৈরশাসক এই দেশে জেঁকে বসেছিল। পরে জনগণের আন্দোলনে সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করা হয়। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এরপর আবার স্বৈরাচার ফিরে আসে, যা আবার জনগণের আন্দোলন দমন করে টিকে থাকে। বিগত ১৫ বছরে অন্য একটি স্বৈরাচার এই রাষ্ট্রে শাসন চালিয়েছে, এবং জনগণের চেষ্টায় সেটিও বিতাড়িত হয়েছে। এখন যদি গণতন্ত্রের মূল চালকদের মধ্যে ঐক্য না হয়, তাহলে গোপনে থাকা স্বৈরাচার আবার উঠতে পারে। এ জন্য দেশের প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের জন্য সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন যে, ঐক্য, সমর্থন ও পুনর্গঠন এই তিনটি বিষয়ই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছে, নির্যাতিত হয়েছে। স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে দেশের অনেক ক্ষতি দূর হয়েছে, এখন দেশের পুনর্গঠনের সময় এসেছে। এজন্য সবাইকে একত্র হতে হবে।’
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন যে, গত ১৬ বছরে দেশে অনেক অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশকে গড়ে তুলতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিভাবে দেশের উন্নতি ও পুনর্গঠন সম্ভব, তা বোঝাতে হবে। তিনি বলেন, “আসুন সবাই মিলিতভাবে কাজ করি যাতে আমাদের দেশ আবার হাসে, শান্তিতে থাকে।”