খাগড়াছড়ি सहित তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও জুম্ম ছাত্র-জনতা অসহযোগিতা ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তাগুলো বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রা-চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং সব পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
অবরোধের दौरान, আন্দোলনকারীরা তাদের মূল দাবিগুলোর পক্ষে কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ধর্ষণ মামলার অবশিষ্ট দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তి প্রদান, বিচারের transparancy নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগীদের আর্থিক ও মানসিক সমর্থন দেওয়া, এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।
তারা আরো উল্লেখ করেছেন যে, ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলি বর্ষণের ঘটনাসমূহের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত চালানো হবে। এই জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অবরোধকারী নেতারা জানিয়েছেন, নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, আঘাত ও বাড়িঘরের ক্ষতি সম্পূর্ণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এর জন্য ক্ষতিপূরণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরও জানান, এই সময়ে আটককৃত সকল ছাত্র-জনতাকে অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া, গভীর তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারী উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আন্দোলনরত পক্ষের দাবি, শান্তিপূর্ণ অবরোধ চালিয়ে যাওয়া, পুরোপুরি স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অতি জরুরি। তারা সরকারের কাছে ১৪৪ ধারা বাতিলের likewise অনুরোধ জানিয়েছেন যা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ, তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে এবং পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, স্বাধীকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।