ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে গাজায় চলমান সংঘাত অবিলম্বে সমাধান হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন হোয়াইট হাউস। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিয়েছেন, তবে তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা করেনি। অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রকার লিখিত প্রস্তাব পায়নি বলে জানা গেছে।
ট্রাম্পের এই ২০ দফা প্রস্তাবে মূল বিষয়গুলো হলো, গাজা উগ্রবাদমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা হিসেবে পুনঃগঠন করা হবে, যাতে এর প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি সৃষ্টি না হয়। গাজার জনগণের কল্যাণে উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ, যুদ্ধ বন্ধের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, বন্দিদের মুক্তি, মরদেহ বিনিময়, এবং জোড়াতালি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া, গাজায় একটি প্রযুক্তিনির্ভর, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি শাসন ব্যবস্থা চালু হবে, যারা দৈনন্দিন জনসেবা ও পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে এবং একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সামরিক ও অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকবে। পাশাপাশি, আঞ্চলিক অংশীদাররা একটি আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনী (আইএসএফ) গঠন করবে, যা গাজার নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ খাতে কাজ করবে। ইসরায়েল গাজার দখল বা অধিগ্রহণ করবে না, বরং ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
প্রস্তাবটি যদি হামাস বিবেচনা না করে বা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে সরাসরি ইসরায়েলি সেনা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি, শান্তিপূর্ণ ও ধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে ফিলিস্তিনির মনোভাব পরিবর্তন ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো, ফিলিস্তিনের জাতীয় মর্যাদা, স্ব স্ব আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে চাচ্ছে।