কুড়িগ্রামের উলিপুরে দোকান চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা থানায় একটি এফআইআর করেছেন। এরই মধ্যে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়, যাতে দুজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকায়।
আহতরা হলেন, এস.এম. আনিছুর রহমান (৪৮) ও আলমগীর রহমান (৩৬), যিনি গুনাইগাছ ইউনিয়নের জুম্মাহাট এলাকার সবেদ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুনাইগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান, যিনি ওরফে হুদা, গুনাইগাই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আব্দুল মান্নানের কনফেকশনারী দোকান থেকে চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা ধরা পড়ার পর মারধর শুরু করেন, তবে কিছু সময়ে সাময়িক ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর এই ঘটনারই আরেকটি পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা আব্দুল মান্নানের শালক ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ, যারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
অভিযুক্তরা মধ্যে রয়েছেন, মেহেদী হাসান হুদা (২৪), সোহেল রানা (২৮), স্বাধীন মিয়া (২৯), কুরাইশি (২০), লুৎফর রহমান (৫৫), জান্নাতি বেগম (২৬), সাজেদা বেগম (৪৮), লিলি বেগম (২৯), লিপা বেগম এবং সোমা বেগম।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, আশরাফুল আলমের বড় ভাই এস.এম. আনিছুর রহমান রাত ১০টার দিকে গাবেরতল বাজারে গেলে পুরনো বিরোধের জেরে অভিযুক্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর কাধের নিচে, পিঠের মেরুদণ্ডের মাঝখানে চারটি ও পেঁঠে দুটি সেলাই দিতে হয়। এই সময় আলমগীর রহমান, আজাদুন্নবী ও আশরাফুল আলম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে দুর্বৃত্তরা। আলমগীরের ডান চোখের ভ্রুতে জখম হয় এবং তার ঠোঁটে দুইটি সেলাই দেওয়া হয়। এছাড়া, আশরাফুল আলমের অভিযোগ, চোরেরা তার শার্টের পকেট থেকে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
আহতদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে তারা খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে মনে করেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে সুনির্দিষ্ট অভিযান চলমান রয়েছে।