জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর উত্তরাঞ্চলের প্রধান নেতা সারজিস আলম বলেছেন, যেখানে দেশের জনগণের ত্যাগ এবং রক্তের মূল্য রয়েছে, সেখানে যারা আবারও আওয়ামী লীগকে রাজপথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে। তিনি এ কথা বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মন্দিরে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, “দেশের মানুষ তাদের ত্যাগ ও রক্তের সঙ্গে আপোশ করতে تیار নয়। কেউ যদি আন্তর্জাতিক ইমেজ রক্ষার নামে সুশীলতার ছদ্মাবরণে রাজনীতি চালানোর চেষ্টা করে, তা জাতি কখনও মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে, এবং দল হিসেবেও এই রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ এই বিষয়ে কোনো আপোষ করবে না।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কোনওভাবে পরিপূর্ণ ছেড়ে দিতে পারে, কিন্তু মূল ক্ষতি তারা করবে না। এত বড় দেশ, এত মানুষের আপেক্ষা যারা রয়েছে, সেগুলো বিসর্জন দিয়ে কেউ নিজের ইমেজ রক্ষার চেষ্টা করলে, আমরা তা গ্রহণ করব না।”
নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে সারজিস আলম বলেন, “শাপলা প্রতীক পাওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধা থাকলে আমরা স্বীকার করতাম। তবে নির্বাচন কমিশন খুবই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে, প্রতীক দিচ্ছে না। আমাদের নতুন দল হিসেবে এক বছরও হয়নি, কিন্তু এই প্রতীক ইস্যু নিয়ে এত বড় সমস্যার সম্মুখীন কেন? আইনগত কোনও বাধা থাকলে আমরা আপত্তি করতাম না। তবে আপনারা জানেন, একটি স্বাধীন সংস্থা যদি স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে আমরা মনে করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আওতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ মনোভাবের কারণে এনসিপি ভবিষ্যতে কমিশনের প্রতি আস্থা হারাতে পারে।
তিনি বলেন, “প্রতিটি দলের নিজস্ব পছন্দ রয়েছে। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলবে না, কিন্তু রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা জরুরি।”
ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে তিনি বলেন, “পঞ্চগড়সহ পুরো দেশেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। গুজব কাণ্ডকারখানা করতে দেয়ার কোনও সুযোগ দেব না।”
এছাড়াও তিনি আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং মন্দির কমিটিকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এই সময় এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।