ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজার সংলগ্ন লাকি রোডের মুখে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোর্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে পাশে থাকা দোকানে পড়ে যায়। এই ঘটনা ঘটার সময় ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের এই এলাকায় ছিল যানজট ও যানচলাচলের ব্যস্ততা। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৮ জন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর এলাকার শহিদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) এবং একই উপজেলার দক্ষিণ জয়লস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. শ্রাবণ (২০)। আহত অন্যান্য ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহিপাল থেকে নোয়াখালীগামী সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি সিলোনিয়া বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয় এবং এরপর উল্টে যায়। এ সময় বাসটি পাশের একটি দোকানে পড়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা তিনজনের মৃত্যু ঘোষণা করেন, অন্য আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, “আনার আগেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ জানান, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মূল কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বেপরোয়া গতিসহ বৃষ্টির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত ও নিহত পরিবারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর প্রতিবেদন ও সান্ত্বনা চাওয়া হচ্ছে।