জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের প্রধান নেতা সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পরে যারা আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তারা সম্পূর্ণভাবে দেশের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আজ বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সারজিস আলম আরও বলেন, দেশের মানুষ যে ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তা তারা ভুলে গেলে চলবে না। কেউ যদি আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে ভালোভাবেই উপস্থাপনের জন্য সুশীলমণ্ডলী হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে চায়, তবে দেশপ্রেমিক জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না। তিনি স্পষ্ট করেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে এবং দল হিসেবেও বিলুপ্ত হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কোনো আপস করবেন না। তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা চাপপ্রয়োগে বা সুবিধার জন্য ম্লান হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় না। এত বৃহৎ দেশ এবং মানুষের রুচিবোধের কারণে তারা অবশ্যই তাদের মূল্যবোধবিরোধী কোনও পন্থা গ্রহণ করবে না। নির্বাচনী সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীকের জন্য কোনও আইনি বাধা নেই। তারপরও নির্বাচন কমিশন এক অজানা ভয়ে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে, প্রতীক দিচ্ছে না। আমাদের নতুন দল হিসেবে এক বছরও হয়নি, কেন এত বড় মাথাব্যথা? যদি লিগ্যাল কোনো বাধা থাকত, তাহলে আমরা আপত্তি করতাম না। তবে, অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠান যদি স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে, তবে আমরা বিশ্বাস করি, চলমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ ধরনের আচরণ অব্যাহত থাকলে, এনসিপি ভবিষ্যতে কমিশনের ওপর আস্থা কমিয়ে দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটা দলের নিজের পছন্দ রয়েছে। আমরা কাউকে বলছি না যে, আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। তবে, রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা জরুরি।’ ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘পঞ্চগড়সহ সারাদেশের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। গুজব ছড়ানো এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা বন্ধ করতে হবে।’ এর আগে তিনি আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং মন্দির কমিটিকে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করেন। এ সময় এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও সনাতনধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।