কুমিল্লার দেবীদ্বারে সংবাদ সংগ্রহের পথে ৮ সাংবাদিকের উপর দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা সাংবাদিকদের মোবাইল, ক্যামেরা ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় নয়জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি পারভেজ সরকার, এশিয়ান টিভির নেছার উদ্দিন, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সোহরাব হোসেন, দৈনিক ডাক প্রতিদিনের মো. আনোয়ার হোসেন, আমার দেশ পত্রিকার আবু বক্কর ছিদ্দিক, কালবেলার জহিরুল ইসলাম মারুফ, ভোরের দর্পন থেকে শাহজালাল, এবং এটিএন নিউজের সাইফুল ইসলাম সজিব।
ঘটনাটি ঘটেছে দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, উটখাড়া মাজারের খাদেম আব্দুল খালেক ফকিরের স্ত্রী কমলা খাতুনের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী শাহজাহানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরেই তাকে নিয়ে নানা ঝগড়া, হামলা এবং ঘর ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। তদন্তাধীন তিনটি মামলার নথিপত্রও রয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর, কমলা খাতুনের বাসার একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেয় শাহজাহান, যা নিয়ে কমলা খাতুনের নাতি ও সাংবাদিক সোহরাব হোসেন অভিযোগ জানান। এরপর, সালিসের একদফা বৈঠকের সময়, তারা ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে গেলে হঠাৎ করে ২৫-৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দৌড়ে এসে আক্রমণ করে।
সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে বসে খবর নিচ্ছিলেন, তখনই সশস্ত্র হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তাদের দেহে মারধর ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে, মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনতাই করে নেয়। হামলাকারীরা আহত করে সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের বাবার মাথা ফাটিয়ে দেয়, মাকে মারপিট করে, তার ছোট বোনের হাত ভেঙে দেয়। আহত সাংবাদিকদের মধ্যে পারভেজ সরকার, নেছার উদ্দিন, সোহরাব হোসেনসহ আরো কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের দ্রুত দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্যের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় সালিসি ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই, হঠাৎ একটি চা দোকানে মারামারি শুরু হয় যেখানে সাংবাদিকেরা আটক থাকছিলেন। পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে খোঁজ নিচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগ এলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মাঈনুদ্দিন।
এই ঘটনার মাধ্যমে 지역ের শান্তি বা নিরাপত্তায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।