ভোর থেকে ঢাকায় অবিরাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও দিনভর ঝরঝর করে বর্ষা চলে, যার ফলে শহরজুড়ে বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গেছে। এই বৃষ্টির কারণে সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে থাকায় যানবাহন ও যাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। সরবরাহের এ.advance বাধা পড়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শাক-সবজির দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ক্রেতারা ও বিক্রেতারা এড়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিভিন্ন সবজির দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা আক্ষেপ করে বলছেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টি দেখিয়ে বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম লাগিয়ে দেন, যা সাধারণ ক্রেতাদের উপর অতিরিক্ত অর্থ চাপিয়ে দেয়।
পূর্ববর্তী সপ্তাহে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙা বেশ সুলভে বিক্রি হলেও, এখন বৃষ্টির কারণে এ সবজির দাম কেজিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বরবটির দাম ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা; অন্য সবজির বাজারমূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে, কাঁচা মরিচ বর্তমানে ভারতীয় আমদানিক মরিচের উপর নির্ভরশীল থাকায় এর দাম তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ছে।
মালিবাগ রেললাইন সংলগ্ন বাজারের বিক্রেতা আশরাফ আলী জানান, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় তারা বেশি দামে কিনে বিক্রি করছেন। তিনি আশাবাদী যে যখন বৃষ্টি কমবে, তখন দাম আবারো স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে।
অন্যদিকে, মগবাজারের ক্রেতা উম্মে হাবিবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুর্যোগ বা বৃষ্টির অজুহাতে বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে, যদিও মালামাল আগেই বাজারে এসে গেছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়ছে।
বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা শামীম বলেন, ঢাকা শহরে বর্তমানে যে সবজির দাম বাড়ছে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো এই সময়ে ভারত থেকে আনা মরিচের আমদানি বন্ধ। ফলে দাম আরও বাড়ছে। তিনি যোগ করেন, দুর্গাপূজা চলাকালীন এই পরিস্থিতি আরও বাড়তে পারে।
সব মিলিয়ে, আবহাওয়া, আমদানি-রপ্তানি ও বাজারের সরবরাহের এ জটিল পরিস্থিতি ঢাকার সাধারণ ক্রেতাদের জন্য একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে, বলে মত ব্যবসায়ীদের।