গত দুদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে রাজধানী এবং আশপাশের বাজারগুলোতে সবজির দাম ব্যাপকভাবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত মাছ, মাংস ও মুরগির দাম আগের মতোই স্থিতিশীল থাকলেও, সব ধরনের সবজির দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সবজির দাম বাড়ছিল, তবে বৃষ্টির অমোঘ প্রভাবের কারণে আরও বেশি বেড়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের সবজির বিক্রয়মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকের বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর লতির দাম ৮০ টাকা, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা। পটল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, জালি এক পিসে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা।
এছাড়াও, করলা ১০০ টাকায়, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, লাউ প্রতি পিসে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, এবং কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, سোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, এবং দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস ১১০০ টাকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালেই রামপুরা বাজারে গিয়েছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী শিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে সবজি মূল্যে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আজ আবার দামে বাড়তি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজারে যদি যথাযথ মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকেএ, তবে সাধারণ ক্রেতারা কিভাবে এত দামে সবজি কিনে খাবে? ব্যবসায়ীরা যেকোনো অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেয়, অথচ সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
মালিবাগ বাজারের এক ক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, গত তিন মাস ধরে সবজির দাম ক্রমশ বেড়েছে। বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে আজ আবার দাম বাড়ানো হয়েছে। দোকানিরা বলছেন, বৃষ্টি থাকায় দাম আরও বাড়ছে। তবে দিনের পর দিন সবজির দাম এত বেশি কেন বাড়ছিল, এই প্রশ্ন উঠছে।
বাজারের সবজি বিক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, দুদিনের বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির দাম আজ আরও বেড়ে গেছে। এ ছাড়া, বেশিরভাগ সবজির মৌসুম কেটে গেছে, ফলে নতুন সবজি আসা বন্ধ থাকায় দাম সাময়িকভাবে স্থিতিশীল হলেও গরমের এই মৌসুমে গাছের ক্ষতি ও ক্ষেতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দাম আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান, যদি বৃষ্টি আরও কয়েকদিন চলতে থাকে, তাহলে দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন ক্রেতারা।